Skip to main content
 

আমাদের কথা

শেরপুরের নামকরণ ও ইতিহাসঃ

ইতিহাস ঐতিহ্য আর আন্দোলন সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে এক আলোকিত প্রাচীন জনপদ শেরপুর। শেরপুরের পূর্বের নাম ছিল দশকাহনিয়া। খ্রিষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর সূচনায় দশকাহনিয়া বাজুর জায়গীরদার হন গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী। বর্তমান গাজীর খামার বা গরজরিপা থেকে এই খ্যাতিমান শাসক একুশ বছরকাল তার শাসনকার্য পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে এই কিংবদন্তী খ্যাত শাসকের নামেই নামকরণ হয় বতর্মান শেরপুরের। ব্রিটিশ আমল ও পাকিস্তান আমলে এ অঞ্চলের নাম ছিল শেরপুর সার্কেল। ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মে ময়মনসিংহ জেলায় উন্নীত হলে শেরপুর ময়মনসিংহের অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৮৬৯ সালের ১৬ জুন শেরপুর পৌরসভা স্থাপিত হয়। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ০৮ জানুয়ারী শেরপুরকে মহকুমায় উন্নীত করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেরপুরকে ৬১তম জেলা ঘোষণা করেন। ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী শেরপুরকে জেলা করা হয়।

শেরপুর আদালতের ইতিহাসঃ

           ১৮৬১ সালের দিকে শেরপুরে মুন্সেফী আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে গৃর্দ্দানারায়নপুর মহল্লায় আদালতের নিজস্ব জমিতে শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত স্থাপিত হয়। এরও পরে জেলা কালেক্টরের ভবণ সংলগ্ন প্রাক্তন নয়আনী জমিদার বাড়িতে শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৮ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে।এই সময় শেরপুরে প্রথম জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে যোগদান করেন জনাব মোহাম্মদ আলী খান। শেরপুরে একটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, দুইটি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, দুইটি সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এবং তিনটি সহকারী জজ আদালত রয়েছে।

ম্যাজিস্ট্রেট আদালতঃ

        ১৮২৮ সালে শেরপুরে জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট স্থাপিত হয়েছিল বলে জানা যায়। ১৮৬৪ সনের দিকে শেরপুর ফৌজদারী কোর্টের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে দেশে বিচার ব্যবস্থা আলাদা হওয়ার পরে ২০০৭ সনের ১ নভেম্বর প্রথম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন জনাব মাহমুদুল কবীর। নিজস্ব আদালত ভবন না থাকায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনেই ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট পরিচালিত হয়ে আসছে। বতর্মানে এ জেলায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালত , সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালত  সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালত , জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালত , জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালত, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালত, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতসহ মোট ৯ টি আদালত রয়েছে। এ জেলায় শেরপুর সদর, শ্রীবরদী, নকলা, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী নামে ৫ টি আমলী আদালত রয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন  ট্রাইব্যুনালঃ

            শেরপুর জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনাল এর প্রথম বিচারক ছিলেন জনাব অমূল্য কুমার সরকার।

ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালঃ

            শেরপুরে একটি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম শেরপুরে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা লিগ্যাল এইড অফিসঃ

            শেরপুর জেলায় একটি লিগ্যাল এইড অফিস রয়েছে। এখানে দুস্থ দরিদ্র মানুষকে বিনা খরচে আইনী সেবা প্রদান, বিরোধ নিষ্পত্তিসহ আইনী পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের উদ্যোগে মূল আদালত ভবনের নিচতলায় একটি মাতৃ দুগ্ধ কর্ণার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

শেরপুর আইনজীবী সমিতিঃ

            শেরপুরে একটি ঐতিহ্যবাহী আইনজীবী সমিতি রয়েছে। ১৮৬৪ সনে চৌকি বার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আজকের শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির অবস্থান।

বর্তমানে শেরপুর  জেলার সকল কোর্টের দৈনিক কজলিস্টসহ অন্যান্য তথ্য সহজেই অনলাইনে পাওয়া যায়।

 

 

 

সম্পাদনায়:

জাহিদা ইয়াছমিন

সহকারী জজ, শেরপুর।

 

আমাদের কথা